Follow palashbiswaskl on Twitter

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity Number2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Zia clarifies his timing of declaration of independence

What Mujib Said

Jyoti Basu is dead

Dr.BR Ambedkar

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti Devi were living

Thursday, October 31, 2013

মুকুল-চিদম্বরম আচমকা বৈঠকে নতুন জল্পনা

মুকুল-চিদম্বরম আচমকা বৈঠকে নতুন জল্পনা

এই সময়, কলকাতা এবং নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের আচমকা বৈঠক ঘিরে জল্পনা শুরু হল দলের অন্দরে-বাইরে৷ মাত্র দশ দিন আগে দলের ২৮ জন সাংসদ মুকুলবাবুর নেতৃত্বে রাজ্যের প্রতি আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে চিদম্বরমের কাছে স্মারকলিপি দেন৷ তার পর বৃহস্পতিবার ফের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কেন মুকুলবাবুর বৈঠকের দরকার পড়ল, তা নিয়ে দলের ভিতরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে৷ 

তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে দু'টি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং এসএফআই-ও যে ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব রীতিমতো আতঙ্কিত৷ তাঁদের আশঙ্কা, ওই দুই সংস্থা অচিরেই তৃণমূলের কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীকে জেরা করার জন্য ডাকতে পারে৷ বৃহস্পতিবার সকালেই মুকুলবাবু বেলা তিনটের সময় দেখা করার জন্য চিদম্বরমের অ্যাপয়েন্টমেন্ট চান৷ দলের ওই সূত্রটি বলছে, দলের নেতা-মন্ত্রীদের যাতে ইডি এবং এসএফআইও জেরা না-করে, তার আর্জি জানাতেই মুকুলবাবু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রের খবর, মুকুলবাবু অর্থমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছেন, একান্ত প্রয়োজন হলে ওই দুই তদন্তকারী সংস্থা যেন দলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছে প্রশ্নাবলি পাঠিয়ে জবাব জেনে নেয়৷ মুকুলবাবু অবশ্য এই কথা মানতেই রাজি নন৷ চিদম্বরমের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'ইডি এবং এসএফআইও তাদের মতো করে সারদা-কাণ্ডের তদন্ত করছে৷ তাদের তদন্ত নিয়ে আমরা ভাবছি না৷ আপনারা বললেন, তাই জানলাম৷' মুকুলবাবুর দাবি, 'রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে কিছু বিষয় স্পষ্ট করার ব্যাপার ছিল৷ তাই দিল্লিতে এসেছি৷ অন্য কোনও বিষয়ে কথা হয়নি৷' 

আজ শুক্রবারই রাজ্যের আর্থিক দাবি নিয়ে চিদম্বরমের সঙ্গে কথা বলতে দিল্লি আসছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র৷ তার আগে ফের মুকুলবাবুকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে হল কেন? তৃণমূল নেতা বলেন, 'আগের বার আলোচনা করে কলকাতায় ফেরার পর আমাদের মনে হয়েছে, আরও কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা জরুরি ছিল৷ তাই এসেছি৷ রোজ রোজ তো আর ২৮ জন সাংসদকে নিয়ে আসা যায় না৷' 

দলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষ ইডি এবং এসএফআইও-র তদন্তকারী অফিসারদের জেরায় এবং পরে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে সারদা-কাণ্ডে একের পর এক দলের নেতা-মন্ত্রীর নাম প্রকাশ্যে আনছেন, তাতে তৃণমূল নেতৃত্ব যথেষ্টই অস্বস্তিতে৷ কুণালবাবু আবার কবে কোন নেতার নাম জানাবেন, তা নিয়ে শাসকদলে আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে৷ তার উপর দলের আর এক বিদ্রোহী সাংসদ সোমেন মিত্র জানিয়েছেন, কালীপুজোর পর তিনি দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন৷ তাঁর স্ত্রী চৌরঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক শিখা মিত্রও দল ছেড়ে কংগ্রেসে যাচ্ছেন বলে সোমেন শিবিরের দাবি৷ বৃহস্পতিবার সোমেনবাবু বলেন, 'আমি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যাচ্ছি৷ তবে দিনক্ষণ এখনও ঠিক করিনি৷' তাঁর দাবি, কংগ্রেসে তিনি যথাযোগ্য মর্যাদাই পাবেন, যা তৃণমূলে পাচ্ছেন না৷ ইতিমধ্যে সোমেনবাবুর সঙ্গে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কথাও হয়ে গিয়েছে৷ 

মিত্র দম্পতির সঙ্গে আরও এমএলএ-এমপি দল ছাড়বেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে এই দম্পতি সাংসদ এবং বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েই কংগ্রেসে যাবেন, যাতে তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁদের লোভী বলতে না পারেন৷ দল ছাড়ার পর সোমেনবাবুরা আরও কত কী বলবেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে, সেটাও দলের নেতৃত্বের একটা চিন্তার বিষয়৷ এর একটা বড় কারণ হল, সারদা-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার আগেই সোমেনবাবু সারদা-সহ আরও নানা বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠি দিয়ে দলের বিরাগভাজন হয়েছিলেন৷

No comments: