Advani also referred to Samajwadi Party chief Mulayam Singh Yadav's recent words of praise for him, which had surprised many, and said that people should not hesitate to speak the "right thing" as "the world will accept it".
"When people believe and talk of our Ayodhya issue and agitate over it, you should not be apologetic over it, ever. You should take pride in it," Advani told partymen.
In his speech at the BJP headquarters on the party's foundation day here, Advani said he felt pride in admitting that his party raised the issue of Ram temple and Ayodhya as it was not just a political movement but also a cultural one.
"People say that BJP and Bharatiya Jana Sangh achieved this position by raising issues like Ayodhya and Ram temple. I feel proud in admitting this and say that ours is not just a political movement but also a cultural movement," he said.
Referring to the SP chief, he said, "Recently, when people heard Mulayam Singh ji praising me, they thought what is he saying and doing? I feel if you speak the right thing, the world will accept it. You should not hesitate. Don't ever let that inferiority complex come inside you."
The Samajwadi Party supremo, when asked about his praise of Advani, had said that those leaders who had done good or are doing so should be appreciated. His comments have sparked speculation of the two parties cosying up in the run up to general elections next year.
Advani said he has no objection to those who believe that BJP gained support by raising the Ayodhya and Ram temple issue alone, but added that he could not complete the Ayodhya Yatra as he was arrested before reaching Ayodhya.
তসলিমা নাসরিনের ''লজ্জা' - বাঁধ ভাঙার আওয়াজ
প্রথমেই বলে রাখি লজ্জা বইটি যারা পড়েননি তারা প্রথমে বই পড়ুন তারপর মন্তব্য করুন। বই না পড়ে মন্তব্য করলে আমাকে হয়ত ভুল বুঝতে পারেন। আক্রমণাত্মক মন্তব্যও করে বসতে পারেন।লজ্জা বইটির ডাউনলোড লিংক Click This Link হুমায়ুন আজাদের \'\'পাক সার জমিন সাদ বাদ\'\' এর...
তসলিমা নাসরিন'এর বইয়ের সগ্রহ - bangla free e-books download (বাংলা ...
১ মে, ২০০৮ – তসলিমা নাসরিনের লজ্জা উপন্যাসটি পড়ে সত্যিই খারাপ লাগছে সংখ্যালঘুদের জন্য , আসলে এটি শুধু বাংলাদেশের সমষ্যা নয় ,পুরোপৃথিবী ব্যাপিই এ সমষ্যা রয়েছে উন্নত,উন্নয়নশীল,অনুন্নত সব-দেশেই , এজন্য দরকার মানসিকতার পরিবর্তন এবং প্রকৃত মানুষ হিসেবে নিজকে-সমাজকে গড়ে তোলা । আরেকটি কথা না বলে পারছিনা , লেখিকা এখানে ...
লজ্জা - তসলিমা নাসরিন - Amarboi.com
You can follow us on Twitter or join our Facebook fanpage or even follow our Google+ Page to keep yourself updated on all the latest from Bangla Literature. Download Bangla books in pdf form amarboi.com and also read it online. 'bangla-boi, boimela, humayun ahmed, bangla boi, ebook, bangla-ebook, bangla-pdf, ...
তসলিমা নাসরিন - উইকিপিডিয়া
bn.wikipedia.org/wiki/তসলিমা_নাসরিনকলকাতায় আনন্দ পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে তসলিমা নাসরিন. জীবিকা, কবি, কলামিস্ট, ঔপন্যাসিক ... তসলিমা নাসরিন (জন্ম: ২৫ আগস্ট, ১৯৬২) বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত নারীবাদী সাহিত্যিক। তসলিমা ময়মনসিংহ মেডিকেল ... তিনি সুইডেনে বসবাস করছেন। তাঁর রচনাসমূহের মধ্যে লজ্জা, আমার মেয়েবেলা, দ্বিখণ্ডিত, গোল্লাছুট, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
লজ্জা-তসলিমা নাসরিন ||ROKOMARI.COM||
লজ্জা. তসলিমা নাসরিন. 1 Ratings | No review yet. Price: Tk. 200.0. Loading. Only 30 Taka Delivery Cost on any amount of purchases. Pay Cash on Delivery all around Bangladesh. Get it in 2-5 working days. Subject: গল্প ও উপন্যাস. Publisher: আনন্দ পাবলিশার্স. Availabilty: In Stock. Report Incorrect Information. Please Login ...
ই বুক লজ্জা By তসলিমা নাসরিন | নাগরিকব্লগ
১৮ জুলাই, ২০১০ – অনলাইনে তসলিমা নাসরিন এর অনেক বই পাওয়া যায় কিন্ত লজ্জা বইটা ফ্রী কোন সাইটে পাওয়া যায়না।যারা অনলাইনে ই বুক পরে তারা অনেকেই আমার কাছে যানতে চেয়েছে তসলিমা নাসরিন এর লজ্জা বইটা কোথাও পাওয়া যায় কিনা।অনেকের আগরহের কারনেই বইটি খুজা খুজি শুরু করি।অনলাইন একটি আজব জায়গা এইখানে সবকিছুই পাওয়া যায় শুধু ...
তসলিমা নাসরিন - Click For Boi - Exclusive Bengali Online Book Rental ...
clickforboi.in/authorinfo/তসলিমা%20নাসরিন/আয় কষ্ট ঝেঁপে জীবন দেব মেপে. By তসলিমা নাসরিন ... জলপদ্য. By তসলিমা নাসরিন ... নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য. By তসলিমা নাসরিন ... নির্বাচিত কলাম. By তসলিমা নাসরিন ... নির্বাসিত নারীর কবিতা. By তসলিমা নাসরিন ... লজ্জা. By তসলিমা নাসরিন ... Prev 1 Next. Want more info question browse our frequently asked question here · facebook logo ...
লজ্জা By তসলিমা নাসরিন | amarblog.com: Bangla Blog ( আমারব্লগ ...
www.amarblog.com/nijhumdip/posts/111508 - বাংলাদেশ১৮ জুলাই, ২০১০ – অনলাইনে তসলিমা নাসরিন এর অনেক বই পাওয়া যায় কিন্ত লজ্জা বইটা ফ্রী কোন সাইটে পাওয়া যায়না।যারা অনলাইনে ই বুক পরে তারা অনেকেই আমার কাছে যানতে চেয়েছে তসলিমা নাসরিন এর লজ্জা বইটা কোথাও পাওয়া যায় কিনা।অনেকের আগরহের কারনেই বইটি খুজা খুজি শুরু করি।অনলাইন একটি আজব জায়গা এইখানে সবকিছুই পাওয়া যায় শুধু ...
তসলিমা নাসরিনের উপন্যাস 'আবারো লজ্জা' ভারতে প্রকাশিত | পদ্মা পাড়ের ...
২৬ এপ্রিল, ২০০৯ – বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিনের উপন্যাস 'ভিনদুম লাজ্জিককুন্নু' 'আবারো লজ্জা' মালায়ালাম ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার লেখিকা সারা জোসেফ কেরালার সাহিত্য একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে বইয়ের মোড়ক উšে§াচন করেন।তসলিমা নাসরিনের বহুল আলোচিত উপন্যাস 'লজ্জা'র দ্বিতীয় পর্বটি মালায়ালাম ভাষায় ...
ali-mahmed.com: একালের দেবী: তসলিমা নাসরিন
২৮ আগস্ট, ২০১২ – আবারও মাথা আমার পায়ের দিকে নাবাতেই বলি, না না প্রণাম করতে হবে না। 'দিদি, আপনার লজ্জা বইটা আমরা পড়েছি দিদি...। দিদি আপনি যা করেছেন, তা যে কত বড়...। ...বলতে বলতে চার যুবক আমি বাধা দেওয়ার পরও আমার পা জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠে। কেঁদে, চোখ মুছে, শংকর তার ভাই বন্ধুসহ বিদায় হল।" (এই অংশটুকু তসলিমা নাসরিনের লেখা...
বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাত নয়টার পরে বৈঠক শুরু হয়ে ১১ টার দিকে তা শেষ হয়।
বৈঠকের আরও একটি সূত্র জানায়, ৯ ও ১০ এপ্রিল সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। তবে খালেদা জিয়া ১৮ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে আরও আলোচনা শেষে হরতালের ঘোষণা দিতে পারেন বলে জানা গেছে।
বৈঠকে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
আগামী ৮ এপ্রিল সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। রাজধানীর মতিঝিলে শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি না মানলে আগামী ৫ মে ঢাকা অবরোধের ঘোষণাও দিয়েছে দলটি।
আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে মহাসমাবেশ শেষে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী হরতালের ঘোষণা দেন।
মহাসচিব আরও ঘোষণা দেন, আগামী ১১ এপ্রিল সিলেট, ১২ এপ্রিল ব্রাক্ষণবাড়িয়া, ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ, ১৮ এপ্রিল বরিশাল, ১৯ এপ্রিল ফরিদপুর, ২০ এপ্রিল খুলনা, ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম, ২৯ এপ্রিল রাজশাহী ও ৩০ এপ্রিল বগুড়ায় শানে রেসালাত মহাসমাবেশ করবে হেফাজতে ইসলাম। এই সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে আগামী ৫ মে ঢাকা অবরোধ করবে হেফাজতে ইসলাম। আটক নেতাকর্মীদের আজ রাত ১০টার মধ্যে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
আজ সকাল ১০টার দিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ডাকা মহাসমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বক্তারা কথিত 'নাস্তিকদের' শাস্তি দাবি করে বক্তব্য দেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার 'নাস্তিকদের' পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রমাণ করেছে তারা মুসলমানদের সরকার নয়। তারা 'নাস্তিকদের' সরকার। বক্তারা তাঁদের শাস্তি দাবি করেন।
হেফাজতে ইসলামের আগামী সোমবারের (৮ এপ্রিল) ডাকা হরতাল প্রতিরোধ করার ঘোষণা দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। ওই দিন সবাইকে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে হরতালবিরোধী মিছিল করে যার যার এলাকার শহীদ মিনারে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শনিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার এই আহ্বান জানান। এ সময় গণজাগরণ মঞ্চে উপস্থিত সবাই 'হরতাল মানি না', 'হরতাল মানি না' বলে স্লোগান দেন।
হরতাল প্রতিরোধ করব
ইমরান এইচ সরকার বলেন, 'সোমবার কীটপতঙ্গতুল্য হেফাজতিরা হরতাল ডেকেছে। আমরা হরতাল প্রতিহত করব। কুলাঙ্গারদের হরতাল আমরা মানি না।' তিনি বলেন, 'সোমবারের হরতাল আমরা প্রতিরোধ করব। আমরাই শহীদ মিনারের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখব।' তিনি বলেন, 'বাংলার প্রতিটি মানুষকে অনুরোধ করছি, আপনারা বাড়িতে যথাযথ সম্মান দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। আর সূর্যাস্তের সময় পতাকা নামিয়ে নেবেন।'
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করেছে তারা
ইমরান এইচ সরকার হেফাজতে ইসলামকে ইঙ্গিত করে বলেন, 'তারা মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত নিয়ে কটূক্তি করেছে। আর সমাবেশের অনুমতি দিয়ে সেটা করার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। এসবই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।' এ জন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানায় গণজাগরণ মঞ্চ। তিনি সোচ্চার কণ্ঠে 'হায়েনা'দের প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান।
'সরকার দুধকলা দিয়ে সাপ পুষছে'
গণজাগরণ মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময় সরকারের কড়া সমালোচনা করেন ইমরান এইচ সরকার। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'রাষ্ট্র আজ হেফাজতে সারমেয় ও যুদ্ধাপরাধীদের দ্বারা ভয়ানকভাবে আক্রান্ত। সরকারকে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, হেফাজতে ইসলামকে যে প্রশ্রয় আপনারা দিচ্ছেন, বাংলার মানুষ তা মনে রাখবে।' তিনি বলেন, 'সরকার দুধকলা দিয়ে সাপ পুষছে।'
সরকারের নীরবতা জাতি মেনে নেবে না
গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক আরও বলেন, পুলিশ বাহিনী যখন আক্রান্ত, 'গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর যখন আক্রমণ চলছে, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের যখন অপমান করা হচ্ছে, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর যখন আক্রমণ হচ্ছে, মুক্তচিন্তার পথ যখন রুদ্ধ হচ্ছে, তখন সরকারের নির্লজ্জ নীরবতা জাতি মেনে নেবে না।' তিনি বলেন, 'শাপলা চত্বরে "লকলকে জিহ্বা" বের করে তারা যে বক্তব্য দিয়েছে, তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। অথচ এখনো প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি।'
বিরোধী দলের সমালোচনা
বিরোধী দলের সমালোচনা করে ইমরান এইচ সরকার বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ যখন আন্দোলন করছে, তখন হেফাজতিদের কোলে নিয়ে বিরোধী দল পৈশাচিক তাণ্ডব নৃত্য করছে।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা
ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক আরও অভিযোগ করেন, 'আমরা যারা যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন করছি, তাদেরকে প্রশাসন নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করছে। চট্টগ্রামের মহাসমাবেশ সেই ঘটনাই বড় প্রকাশ।' তিনি বলেন, 'আজ কীভাবে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নির্যাতন হয়েছে তা আপনারা জানেন। অসুর হেফাজতে ইসলাম চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। আজ তারা ইটিভির নারী সাংবাদিককে মেরেছে।'
আন্দোলন চলছে, চলবে
গণজাগরণ মঞ্চ দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছে, 'আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে। আমাদের মাঝে আছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রতিটি মানুষ।'
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে চাই
ইমরান এইচ সরকার বলেন, 'নতুন প্রজন্ম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে চায়। সরকারের কাছে জানতে চাই, তারুণ্যের রক্ত কত উত্তাল, কত তীব্র, বাংলার তরুণেরা যুগে যুগে তা প্রমাণ করেছে।'
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এরা হেফাজতের সমাবেশে আসা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। আজ সকাল থেকেই তারা কয়েক দফা প্রেসক্লাব এলাকায় কদম ফোয়ারার সামনের পুলিশি অবরোধ ভাঙ্গার চেষ্টা করে। পরে হেফাজত কর্মীরা সেখানে এসে মানবঢাল তৈরি করে তাদের প্রতিহত করেন। এভাবে বিকাল বেলা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত হেফাজত কর্মীরা তাদের আটকে রাখেন।
সূত্র জানায়, সমাবেশ শেষে ওইসব যুবকরা লাঠি হাতে একটি মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মিছিলটি প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ধাওয়া করেন। পরে তাঁরা মত্স্য ভবনের সামনের সড়ক দিয়ে শাহবাগের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে এদের প্রতিহত করতে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা লাঠি নিয়ে মত্স্য ভবন ও রমনার দিকে যান। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করলে সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিছুক্ষণ পরপরই হামলাকারীরা রমনা পার্কের ভেতর দিয়ে শাহবাগের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁদের ঠেকাতে শিশুপার্কের উল্টোদিকে রমনা পার্কের প্রবেশমুখে বর্তমানে পুলিশ ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রমনা জোনের পুলিশের উপকমিশনার মারুফ হাসান ছাত্রশিবির সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করার খবর নিশ্চিত করেছেন।
আজ বিকেলে এই ঘটনার তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, গণজাগরণ মঞ্চকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করবেন না।
এদিকে, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জমায়েত হয়েছেন। সেখানে তাঁরা জামায়াতবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য আহত:
হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. আফসার আহমদ আহত হয়েছেন। শাহবাগে একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর তিনি পড়ে গিয়ে পায়ে আঘাত পান বলে জানা গেছে।
আফসার আহমদকে গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে। তাঁর বাম পায়ে পাঁচটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
এ হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
ঢাকার বাইরে থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
চাঁদপুর: গতকাল ভোর থেকে চাঁদপুরের সঙ্গে ঢাকার সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ ছিল। চাঁদপুর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শোয়েবুর রহমান জানান, গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার আশঙ্কায় চালকেরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
তবে চাঁদপুর থেকে ঢাকামুখী নৌপথের সব লঞ্চ যথানিয়মে চলছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তা মো. শাহনেওয়াজ। সকাল আটটা থেকে সব কটি লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ছেড়েছে বলে জানায় নৌ পুলিশ।
বাস না পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত ও গতকাল সকাল থেকে শত শত মাদ্রাসাশিক্ষক ও ছাত্র লঞ্চযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
কুমিল্লা: কুমিল্লার বাসমালিকেরা জানান, সহিংসতার আশঙ্কায় গতকাল সকালের পর থেকে ঢাকার উদ্দেশে কোনো বাস ছাড়েনি। তবে এশিয়া লাইন পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রব প্রথম আলোকে বলেন, 'সরকারি নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।'
এর পরও হেফাজতে ইসলামের কুমিল্লার নেতা-কর্মীরা সুয়াগাজী থেকে ভোরেই হেঁটে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে পৌঁছান। সেখান থেকে কয়েকটি মিনিবাস, ছোট পণ্যবাহী ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তাঁরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
হেফাজতে ইসলামের কুমিল্লার সদস্য গোলাম জিলানী বলেন, 'রাতের মধ্যেই সব নেতা-কর্মী ঢাকায় গিয়ে পৌঁছাবেন। পরিবহন না দিলেও আমরা ঠিকই লংমার্চ করে পৌঁছাব।'
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া: দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী বাস চলাচল না করায় দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ গতকাল সকাল থেকে অচল হয়ে পড়ে। উভয় ঘাটে ফেরিগুলো যানবাহনের অপেক্ষায় থাকলেও কিছু ট্রাক ও ছোট গাড়ি পার করা ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ ছিল না।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক তানভির হোসেন জানান, ১০টি ফেরি থাকলেও পারাপারের জন্য কোনো পরিবহন নেই।
সূর্যমুখী পরিবহনের ঘাট প্রতিনিধি আক্তার হোসেন জানান, মালিকপক্ষের নির্দেশে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী সব গাড়ি শুক্রবার ভোর থেকেই বন্ধ রয়েছে।
দুপুরে লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘক্ষণ পর পর অল্প কিছু যাত্রী নিয়ে দু-একটি লঞ্চ ছাড়ছে। একটি লঞ্চের কর্মচারী মাহবুব হোসেন জানান, সকাল নয়টার পর থেকে ঘাটে কোনো যাত্রী নেই। রাজবাড়ী জেলা বাস মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বাস না চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মাওয়া-কাওড়াকান্দি: ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথে গতকাল সকাল থেকেই লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচল বন্ধ ছিল। পরিবহনের অভাবে দুপুর থেকে বন্ধ হয়ে যায় ফেরি চলাচল। তবে মাঝেমধ্যে ট্রাকসহ ছোট ছোট যান নিয়ে দু-একটি ফেরি চলাচল করে। ঘাট এলাকায় মোতায়েন ছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।
সকালে কাওড়াকান্দি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকামুখী দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার সাধারণ যাত্রী ও হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকেরা ঘাটে অপেক্ষা করছেন। হেফাজতে ইসলামের বরিশাল জেলার দপ্তর সম্পাদক মুফতি সুলতান মাহমুদ বলেন, পুলিশ প্রশাসনের বাধার কারণে হেফাজতে ইসলামের অনেক সদস্য ঘাটে এসে বসে আছেন। নৌযানের অভাবে পার হতে পারছেন না।
খুলনা থেকে আসা সুমাইয়া আক্তার বলেন, 'অসুস্থ মাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সকালে ঘাটে এসে আটকা পড়ি। লঞ্চ ও ফেরি চলাচল না করায় পার হতে পারছি না।'
বগুড়া: শুক্রবার সকালে ঢাকায় যাওয়ার জন্য যারা পরিবহনের টিকিট কিনেছিল, কাউন্টারে আসার পর তাদের জানানো হয় যে গাড়ি বন্ধ। ফেরত দেওয়া হয় টিকিটের টাকা। এসআর পরিবহনের ব্যবস্থাপক ঝন্টু মিয়া জানান, মালিক সমিতির নির্দেশে তাঁরা গাড়ি ছাড়ছেন না। বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল লতিফ মণ্ডল জানান, নাশকতার আশঙ্কায় তাঁরা দূরপাল্লার বাস বন্ধ রেখেছেন।
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর থেকেও ঢাকাগামী দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। গতকাল সকালে কয়েকটি পরিবহন ছাড়লেও সকাল ১০টার পর কোনো পরিবহন ছাড়েনি। কুষ্টিয়া বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হাসান ইমাম জানান, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের চুয়াডাঙ্গা জেলার মুখপাত্র জুনায়েদ আল হাবিবি অভিযোগ করেন, পরিবহন-মালিকেরা আকস্মিকভাবে গাড়ি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় লংমার্চ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে নেতৃত্বস্থানীয় কয়েকজন মুফতিসহ অনেক সদস্য আগেই ঢাকায় ও আশপাশের জেলায় পৌঁছে গেছেন।
সাতক্ষীরা: গতকাল সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগাগমী সব যাত্রীবাহী বাস বন্ধ ছিল। হেফাজতে ইসলামের সাতক্ষীরা জেলার সমন্বয়ক মাওলানা মনিরুল হক জানান, ঢাকাগামী গাড়ি বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁরা লংমার্চে যোগ দিতে ঢাকায় যেতে পারছেন না।
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): সরাইল বিশ্বরোড মোড় থেকেও কোনো যাত্রীবাহী বাস গতকাল ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। সকাল ১০টার পর দূরপাল্লার সব টিকিট কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়।
নাটোর: হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকেরা খুব সকালেই বাস ও ট্রাকে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু নাটোর পুলিশ লাইনের সামনে বাস, ট্রাকসহ সব পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের নামিয়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় কর্মী-সমর্থকেরা তাৎক্ষণিক পুলিশ লাইনের সামনেই নাটোর-ঢাকা মহাসড়কে বসে পড়ে প্রতিবাদ জানান। পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের উঠিয়ে দিলে পরে তাঁরা শহরের ভবানীগঞ্জ মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ বাস আটকে দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও কেন আটকে দিয়েছেন, তা জানাননি।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতেই নাটোর স্টেশন থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের টিকিট দেওয়া বন্ধ রাখা হয়।
দিনাজপুর: গতকাল জুমার নামাজের পর দুটি বাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন হেফাজতে ইসলামের প্রায় দেড় শ কর্মী-সমর্থক। কিন্তু দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ মোড়ে বাস দুটিকে থামিয়ে দেয় পুলিশ। বাধা পেয়ে সেখানে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
হবিগঞ্জ: হেফাজতে ইসলামের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম গাড়িভাড়া ফেরত দিয়েছেন হবিগঞ্জের পরিবহন ব্যবসায়ীরা। হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সমন্বয়ক মাওলানা আবু সালেহ বলেন, 'আমরা প্রায় ২০০ পরিবহন ভাড়া করেছিলাম। কিন্তু আজ (গতকাল) গাড়ি ভাড়া দেওয়া হবে না বলে জানান পরিবহন-মালিকেরা।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাসমালিক বলেন, 'প্রথমে না বুঝে অগ্রিম ভাড়া নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তাঁদের আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাই গাড়ি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
আজ শনিবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির কার্যালয়ে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের পর এক প্রতিক্রিয়ায় মোহাম্মদ নাসিম এ মন্তব্য করেন।
'আওয়ামী লীগ নাস্তিক সরকার' হেফাজত ইসলামের নেতাদের এমন মন্তব্যের বিষয়ে নাসিম বলেন, 'আওয়ামী লীগের কাউকে নাস্তিক বলার অধিকার দুনিয়ার কারও নেই। একমাত্র আল্লাহ জানেন কে আস্তিক আর কে নাস্তিক।'
নাসিম বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাত্ করার জন্য এ সমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি-জামায়াত। যত বাধা আসুক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী একাত্তরের ঘাতক-দালালদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহিংসতার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে নাসিম বলেন, 'আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। শান্তিপূর্ণ সব ধরনের কর্মসূচিতে সহযোগিতা করেছে। এ ধরনের সহিংসতার জন্য দায়ী বিএনপি-জামায়াত। তাদের উসকানির ফলে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।'
আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয় না। এ জন্য সমাবেশে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। সমাবেশে সার্বিক সহযোগিতার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
হেফাজতের এ ধরনের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ কি নতিস্বীকার করবে?— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, 'কোনো অন্যায্য দাবির কাছে আওয়ামী লীগ নতিস্বীকার করবে না। তারা যেটা করছে সেটা আন্দোলন নয়, সেটা নৈরাজ্য। নৈরাজ্য হলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
আওয়ামী লীগ নতুন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করবে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'আমাদের দল হলো জনগণের দল। জনগণের জানমাল রক্ষায় দলীয় ফোরামে আলোচনা করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।'
সরকার জরুরি অবস্থা জারির পাঁয়তারা করছে, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার এমন মন্তব্যের বিষয়ে নাসিম বলেন, 'অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে তাঁদের অভিজ্ঞতা আছে, আমাদের নেই।'
রাজধানীর মতিঝিলে শাপলা চত্বরে আজ শনিবার হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ-পরবর্তী সমাবেশে সংহতি জানায় বিএনপি ও জাতীয় পার্টি।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ ছাড়া সাদেক হোসেন খোকাসহ ৫০ জন নেতাও প্রতিনিধিদলে রয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা প্রথম আলো ডটকমকে জানান, সারা দেশ থেকে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন। ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকেও নেতা-কর্মীরা সমাবেশে গেছেন।
এর কিছুক্ষণ পর জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সমাবেশে যান দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর। সেখানে গিয়ে তিনি দলের পক্ষ থেকে সংহতি জানান।
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, ১৩ দফা দাবিতে তাঁদের আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে হলে এসব দাবি মেনেই থাকতে হবে, ক্ষমতায় যেতে হলে এসব দাবি মেনেই যেতে হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে হেফাজতের মহাসমাবেশে শাহ আহমদ শফী লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আহমদ শফীর পক্ষে তাঁর ছেলে ও হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক আনাছ মাদানী বক্তব্য পড়ে শুনান।
আহমদ শফীর বক্তব্যে সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলা হয়, আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করা হলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। সরকারকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সারা দেশে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দাবি মানা না হলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। ইসলামবিরোধী সরকারের পরিণতি হবে নমরুদ, আবু লাহাবদের চেয়েও ভয়াবহ। হেফাজতের আমিরের বক্তব্যে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, 'বাতিল জাগরণ' স্তিমিত করার জন্য জীবন বাজি রেখে 'শহীদ' হওয়ার প্রস্তুত থাকতে হবে।
আহমদ শফীর বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, জঙ্গিবাদ দমনের নামে ইসলাম নির্মূলের জন্য বিদেশিদের এই দেশে আনার পাঁয়তারা চলছে। 'নাস্তিক'দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করলে ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু যারা আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
শাহ আহমদ শফীর বক্তব্যে আরও অভিযোগ করা হয়, মুসলমানদের সভ্যতা ধ্বংস করে দেশে 'বেলেল্লাপনা' আমদানি করা হচ্ছে। মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন ও মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে দেশকে 'অগ্নিপূজারি' 'মূর্তিপূজারিদের' দেশে পরিণত করা হচ্ছে।
হেফাজতে ইসলামের ডাকা মহাসমাবেশ আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে শুরু হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে মহাসমাবেশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আল্লামা নূর হোসাইন কাশেমী। হেফাজতে ইসলামের আমির হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী বেলা পৌনে তিনটার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছান। এ সময় সেখানে উপস্থিত হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বানানো মঞ্চে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।
সমাবেশের ঘোষণাপত্রে হেফাজতের ১৩ দফা তুলে ধরা হয়। মুফতি ফয়জুল্লাহ ঘোষণাপত্র পড়েন।
সংগঠনের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, 'হেফাজতে ইসলামের এই আন্দোলন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক আন্দোলন। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আবার সংঘর্ষও নেই।'
এর আগে হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন। তাঁরা কথিত 'নাস্তিকদের' শাস্তি দাবি করেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার 'নাস্তিকদের' পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রমাণ করেছে তারা মুসলমানদের সরকার নয়। তারা 'নাস্তিকদের' সরকার।
ভোর থেকেই রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জড়ো হতে থাকেন হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা।
মহাসমাবেশে আসা লোকদের অবস্থান শাপলা চত্বর থেকে দক্ষিণ দিকে আর কে মিশন সড়ক (ইত্তেফাক মোড়), পশ্চিম দিকে দৈনিক বাংলা মোড় ও অন্যদিকে আরামবাগ মোড় ছাড়িয়ে যায়।
পুলিশের মতিঝিল অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার তারেক আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, লংমার্চ ও মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মতিঝিল এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আশপাশের এলাকায়ও পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করে।
হেফাজতের ১৩ দফা দাবি
কথিত নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবিতে ঢাকায় হেফাজতে ইসলাম লংমার্চ-পরবর্তী মহাসমাবেশ ডাকে। হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি:১. সংবিধানে 'আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস' পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করা।
২. আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুত্সা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।
৩. কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুত্সা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
৪. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
৫. ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।
৬. সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতত্পরতা বন্ধ করা।
৭. মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।
৮. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।
৯. রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা।
১০. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতত্পরতা বন্ধ করা।
১১. রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা।
১২. সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাঁদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।
১৩. অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
মহাসমাবেশে চিকিত্সা সেবা দিচ্ছে ড্যাব ও এনডিএফ
হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে আসা লোকজনকে প্রাথমিক চিকিত্সাসেবা দিচ্ছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)।মতিঝিলের শাপলা চত্বরকে কেন্দ্রে রেখে আশপাশের এলাকায় মোট ছয়টি অস্থায়ী চিকিত্সা ক্যাম্প বসিয়েছে ড্যাব। মতিঝিলে নটর ডেম কলেজের বিপরীত পাশে দায়িত্বরত চিকিত্সক বিটু প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ড্যাবের পক্ষ থেকে নটর ডেম ছাড়াও দৈনিক বাংলা মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব, টিকাটুলি মোড়, মগবাজার মোড় ও রায়সাহেব বাজার মোড়ে চিকিত্সা ক্যাম্প বসানো হয়েছে।
ড্যাব ছাড়াও দৈনিক বাংলা মোড়ে খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে একটি চিকিত্সা কেন্দ্র বসানো হয়েছে।
ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) মেডিকেল টিমের সদস্য মাহমুদ জানান, এনডিএফের পক্ষ থেকে মোট চারটি ক্যাম্প বসানো হয়েছে। কালভার্ট রোড ছাড়াও এফবিসিসিআইয়ের সামনে, বলাকা চত্বরে ও পল্টন মোড়ে আরও তিনটি টিম রয়েছে। মহাসমাবেশে আসা লোকজনকে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জাতীয় পার্টি ৪০টি পয়েন্টে পানি পান করায়
জাতীয় পার্টি রাজধানীর ৪০টি স্থানে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের পানি পান করান। 'হেফাজতে ইসলামের ভাইদের পাশে আমরা' ব্যানার লিখে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা পানি পান করান।সকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ আবদুল্লাহপুরে জাতীয় পার্টির ক্যাম্পে পানি পান করাতে যান। এরপর তিনি খিলক্ষেত, বিমানবন্দর সড়ক, বিশ্বরোড ও মহাখালী কাঁচাবাজারের পাশে এসে দলের পানি পান করানো কর্মসূচি দেখেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার।
২২টি স্থানে খাবার, ওষুধ ও পানি সরবরাহ করে বিএনপি
রাজধানীর প্রবেশমুখসহ অন্তত ২২টি স্থানে খাবার, ওষুধ ও পানি সরবরাহ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, 'সম্পূর্ণ মানবিক কারণে মুসাফিরদের খাবার বিতরণ করছি। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।'অচল হয়ে পড়েছে দেশ
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ শুরুর এক দিন আগে গতকাল শুক্রবার দেশ কার্যত অচল হয়ে পড়ে। গতকাল সকাল থেকে দেশের বেশির ভাগ এলাকার ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঢাকা থেকেও ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস।নাশকতার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮টি ট্রেনের চলাচল বাতিল করা হয়েছে।
গতকাল বরিশাল অঞ্চল থেকে ঢাকামুখী কোনো লঞ্চ ছাড়েনি। দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত কাওড়াকান্দি থেকে মাওয়া নৌপথে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সারা দেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা।
দেশব্যাপী চরম উত্কণ্ঠা
হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছাড়াও আজ রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ করবে গণজাগরণ মঞ্চ।হেফাজতের ঢাকামুখী লংমার্চ ঠেকাতে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আজ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিসহ ২৩টি সংগঠন। একই সঙ্গে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ২২ ঘণ্টা রাজপথ-রেলপথ-নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।
আজকের লংমার্চ, হরতাল-অবরোধ ও সমাবেশের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী বিরাজ করছে চরম উত্কণ্ঠা। দেশে কী ঘটতে যাচ্ছে—এ নিয়ে জনমনে শঙ্কার পাশাপাশি চলছে নানা বিশ্লেষণ ও আলোচনা-সমালোচনা।
হেফাজতে ইসলামের দাবি নাকচ করলেন তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ
ঢাকাঃ বিএনপি জোটের ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনেও বাংলাদেশে অশান্তি অব্যাহত৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বোমাবাজি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে৷ পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে পুলিশ৷ বেশ কয়েকজন হরতাল সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ৷ দাবি না মানা হলে আরও বড় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিএনপি৷
আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি, নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন সহ একাধিক দাবিতে বুধবার থেকে ৩৬ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে বংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও ১৮ দলের জোট৷ বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও হরতালের জেরে দেশজুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে৷
হরতালের দ্বিতীয় দিনে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল ও পিকেটিং করে হরতাল সমর্থকরা৷ দফায় দফায় সংঘর্ষ, বোমাবাজি ও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে হরতাল সমর্থকদের বিরুদ্ধে৷ সকালে ঢাকার যাত্রীবাড়ি এলাকায় অবরোধকারীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ৷ কয়েকটি হাতবোমা ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে রবার বুলেটও ছুড়তে হয়৷ ঢাকার মুগদা এলাকাতেও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়৷ সেগুনবাগিচায় বারডেম-২ হাসপাতালের সামনে একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে বিএনপি সমর্থকরা৷ অশান্তির খবর পাওয়া গেছে মীরপুর, ধোলাইরপাড় ও কেরানিগঞ্জ থেকেও৷।
এদিন ঢাকা ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে যানচলাচল ব্যাহত হয়েছে৷ দূরপাল্লার অধিকাংশ বাস রাস্তায় নামেনি৷ সাধারণ পরিবহণ চালু থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম ছিল৷
অন্যদিকে, জামাত শীর্ষ নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদির ফাঁসির নির্দেশের বিরুদ্ধে বৃস্পতিবারই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর আইনজীবী৷
http://www.abpananda.newsbullet.in/international/61-more/35095-2013-03-28-10-39-44
নয়াদিল্লি: ২০১৪-এ লালকৃষ্ণ আডবাণীর নেতৃত্বে সরকার গড়বে দল৷ নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ রাজনাথ সিংহের পাশে দাঁড়িয়ে বিতর্কিত এই মন্তব্য করেছেন বিজয় গোয়েল৷ তবে দলের চাপে পরে ফের সুর বদলের চেষ্টা করছেন তিনি৷
ফের বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে এল লালকৃষ্ণ আডবাণীর নাম৷ নরেন্দ্র মোদীর নাম যখন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে এগিয়ে, তখন আডবাণীর হয়ে সওয়াল করলেন বিজেপি নেতা বিজয় গোয়েল৷ রাজনাথ সিংহের পাশে দাঁড়িয়েই আজ দিল্লিতে বিজয় গোয়েল বলেন, ২০১৪ সালে আডবাণীর নেতৃত্বেই কেন্দ্রে সরকার গড়বে৷ তার কিছুক্ষণ পরেই বিতর্ক বুঝে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন বিজয় গোয়েল৷ তিনি বলেন, প্রবীণ নেতা হিসেবেই আডবাণীর নাম তিনি বলেছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী কে, তা ঠিক করবে দলের সংসদীয় বোর্ড৷
http://www.abpananda.newsbullet.in/national/60-more/35366-2013-04-06-08-15-56
No comments:
Post a Comment