Follow palashbiswaskl on Twitter

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity Number2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Zia clarifies his timing of declaration of independence

What Mujib Said

Jyoti Basu is dead

Dr.BR Ambedkar

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti Devi were living

Friday, May 3, 2013

গৌতম দেবের বিরুদ্ধে মানহানির মামালা!হীরক জয়ন্তীতে রুপোলি পর্দায় সোনার স্বপ্নগুচ্ছ!জেরায় ভেঙে পড়লেন সুদীপ্ত সেন!ফের আরও এক ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে নাম জড়াল শতাব্দী রায়ের!ভুয়ো প্রতিশ্রুতির অভিযোগে জাভেদ খানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ!সুদীপ্তর কাঠগড়ায় সারদা-কর্মীরা!প্রতারণা: গ্রেফতার মহিলা মালিক!ধৃত লগ্নি সংস্থার ২ অধিকর্তা!ভোটে হার, রেলে বেলাইন তৃণমূল!

গৌতম দেবের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মামলাটি দায়ের করা হয়। অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালতে মামলা গৃহীত হয়েছে। 

২৪ ঘণ্টায় এসে সিপিআইএম নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যবসা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ঠিকানা থেকে ব্যবসা চলায়, মুখ্যমন্ত্রীও জড়িত বলে অভিযোগ তোলেন গৌতম বাবু।


সারদার পর আরও একটি ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে নাম জড়াল শতাব্দী রায়ের। বোলপুরের একটি ভুঁইফোড় অর্থ লগ্নিকারী সংস্থার বিজ্ঞাপন করেছিলেন তিনি। এমনকী তৃণমূলের এই অভিনেত্রী সাংসদকে সামনে রেখেই অর্থলগ্নি সংস্থা স্কাইলার্ক দেদার টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ। সারদাকাণ্ডের পর থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে সংস্থার কর্পোরেট অফিস। 

সারদাকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক মন্ত্রী সাংসদের। সেই তালিকায় রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ও। এবার চিটফান্ড ইস্যুতে আরও একটি সংস্থার সঙ্গে নাম জড়াল তৃণমূলের এই অভিনেত্রী সাংসদের।

দুবছর আগে বোলপুরের বাঁধগোড়া এলাকায় প্রথম অফিস খোলে স্কাইলার্ক গ্রুপ। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা এবং ভিনরাজ্যেও দেদার টাকা তোলার পর বোলপুরের রামকৃষ্ণ রোডে সংস্থার কর্পোরেট অফিস খোলা হয়। স্কাইলার্কের সমস্ত বিজ্ঞাপনেই রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়।  
 
বিজ্ঞাপনে আকাশ ছোঁওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বীরভূমের সাংসদ। এখন আমানতকারীদের টাকা ফেরতের আশা বিশ বাঁও জলে। কারণ, সারদাকাণ্ডের পর থেকেই বন্ধ সংস্থার অফিস। গা ঢাকা দিয়েছেন কর্ণধাররা।


ভুয়ো প্রতিশ্রুতির অভিযোগে দমকলমন্ত্রী জাভেদ খানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন প্রায় ই এম বাইপাসের পঞ্চান্নগ্রাম গুলশন কলোনির প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গুলশন নগরের যে জমিতে তাঁরা থাকতেন ওই জমিতে ফ্ল্যাট তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন জাভেদ খান। 

এজন্য রীতিমতো চুক্তি পত্র তৈরি প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হয় দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা। এরপর জমি খালি করে দেন তাঁরা। কিন্তু এখন সেই জমি ঘিরে ফেলেছেন জাভেদের ঘনিষ্ঠরা।  ওই জমি এলআইসির বলে দাবি করছেন জাভেদ খানের ঘনিষ্ঠরা।। এঘটনার প্রতিবাদে আজ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান গুলশন নগরের বাসিন্দারা।


সারদা কাণ্ডে টানা জেরা সুদীপ্ত সেনকে। সাত দিনের মাথায় গোয়েন্দাদের জেরায় ভেঙে পড়লেন সুদীপ্ত সেন। কোনও কিছুই খেতে চাইছেন না তিনি। পুলিস সূত্রে জানানো হয়েছে দেবযানী মুখার্জির বয়ান তাঁর বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। সে কারণেই ভেঙে পড়ছেন তিনি। রাতে দেড়িতে ভুমোতে যাচ্ছেন সুদীপ্ত। 

গোপন নথির খোঁজে দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে মিডল্যান্ড পার্কে সারদার মূল অফিসে তল্লাসি চালায় পুলিস। সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তল্লাসি চালিয়ে পুলিস প্রচুর রবার স্ট্যাম্প ও ফাইল বাজেয়াপ্ত করে। সারদার আয়-ব্যয় সংক্রান্ত বেশকিছু নথিপত্র উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা। আয়কর সংক্রান্ত কিছু নথিও মেলে। বিষ্ণুপুর ও জাগুলিয়ায় সংস্থার সম্পত্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়।

বেশ কয়েকটি কম্পিউটরের হার্ডডিস্ক ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আজ মনোজ নাগেলকেও দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সারদার মোট ৭৮ টি শাখার আমানতের বিষয়টি দেখতেন মনোজ নাগেল। আসানসোল, দুর্গাপুর শাখা প্রতি মাসে বারো কোটি টাকার ব্যবসা করত। 

সারদা সাম্রাজ্যের পতনের কারণ কি সংস্থার কর্মীরাই? উত্তর খুঁজছে পুলিশ৷
সারদার মালিক সুদীপ্ত সেনকে শুক্রবারও দফায় দফায় জেরা করা হয়৷ পুলিশ সূত্রে খবর সুদীপ্ত সেন জেরায় জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস অবধি জাল পলিসি তৈরি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত্ করে গা ঢাকা দিয়েছেন বেশ কয়েকজন কর্মী৷ আমানতকারীরা বিভিন্ন পলিসির জন্য টাকা জমা দিয়েছেন৷ অথচ, তাঁদের টাকা সারদা গোষ্ঠীর হাতে এসে পৌঁছয়নি৷


রবীন বিশ্বাস ও বাপি নামে সুদীপ্ত সেনের দুই ড্রাইভারকেও এদিন দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ৷ এদিন সকালে একঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে৷ সুদীপ্ত সেন ও দেবযানীরা আত্মগোপনের সময়ে একটি ল্যাপটপ ছিল তাঁদের সঙ্গী৷ ওই ল্যাপটপের নথি তদন্তের অন্যতম অস্ত্র হতে পারে বলে মনে করেছন গোয়েন্দারা৷ 
ধৃত সারদাকর্তা মনোজ নাগেলকে আরও ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগর আদালতের৷ নাগেলকে হেফাজতে নিতে চাইছে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেট৷ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে আবেদনও জানিয়েছে তারা৷ এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত৷ 
এদিকে, তদন্তে নেমে মালদা ও চন্দনগর সহ বেশকয়েকটি সম্পত্তির নথিও উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ পুলিশ জানিয়েছে,সুদীপ্ত সেনের নামে মালদায় ১২ একর জমি কেনা হয়৷ চন্দননগরে একটি বাণিজ্য ভবনেরও হদিশ পেয়েছে পুলিশ৷ নতুন করে মোট ১৫টি সম্পত্তির নথি উদ্ধার করেছে বিধানগর পুলিশ কমিশনারেট৷ পুলিশ জানতে পেরেছে, মিডল্যান্ড পার্কের অফিস ভবনটিও কিনে নিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন৷ সারদা গোষ্ঠীর বাড়বাড়ন্তে ব্যাঙ্কের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ কোটিকোটি টাকার লেনদেন হলেও কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই ৪৮ ঘণ্টার বেশি টাকা জমা রাখা হত না৷ কোটি কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি কেনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছেন সুদীপ্ত সেন৷ কী দেখে ও কেন তাঁকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ঋণ দিয়েছে, প্রয়োজনে ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে৷ 
সারদা গোষ্ঠীর আমানতকারীর মোট সংখ্যা কত? সমস্ত শাখা অফিসের আয়-ব্যয়ের হিসেব কী? এসব সব তথ্য একত্র করারও চেষ্টা চালাচ্ছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট৷ 

http://www.abpananda.newsbullet.in/state/34/36298


সারদার পর আনন্দ সঞ্চয়৷ আরও একটি লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে উত্তপ্ত উত্তর কলকাতা৷ কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল সংস্থার কর্ণধার স্বর্ণলতা সাউকে৷


সারদার দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের পর স্বর্ণলতা সাউ৷ সারদার পর আনন্দ সঞ্চয় নামের এই  লগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারিতে জড়াল আরও এক মহিলার৷ অভিযোগ, এই সংস্থাতে টাকা রেখে প্রতারিত অসংখ্য মানুষ৷ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে আনন্দ সঞ্চয় নামে একটি লগ্নি সংস্থা খোলেন রবীন্দ্র সরণির বাসিন্দা স্বর্ণলতা সাউ৷ ব্যবসায় সঙ্গ দেন স্বামী রামনারায়ণ সাউ৷ অভিযোগ, ৭-৮ বছর ধরে এলাকা থেকে টাকা তোলেন তাঁরা৷  অন্য লগ্নি সংস্থার মতো এখানেও অল্পদিনে টাকা দ্বিগুণ বা চারগুণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে উত্তর কলকাতায় কোটি কোটি টাকা তোলা হয় বলে অভিযোগ৷ 
আমানতকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই টাকা ফেরত দিচ্ছিল না ওই সংস্থা৷ সারদা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতে ক্ষোভ উগরে দেন আমানতকারীরা৷ অভিযোগ, কয়েকশো কোটি টাকার প্রতারণা করেছে ওই সংস্থা৷ বুধবার রাতে বটতলা থানায় সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আমানতকারীরা৷ 
অভিযোগ পাওয়ার পরই সংস্থার কর্ণধার স্বর্ণলতা সাউকে শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করে বটতলা থানার পুলিশ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রতারণা, ১২০-বি ধারায় অপরাধমুলক ষড়যন্ত্র , ৪৬৫, ৪৬৭ ও ৪৭১ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ৷ 
স্বর্ণলতা সাউয়ের স্বামী রামনারায়ণ সাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷ বছর খানেক আগে সংস্থায় কালেক্টর পদে কর্মরত রোহিত সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ৷ তবে সংস্থার কোনও অফিসের খোঁজ পায়নি পুলিশ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে রবীন্দ্র সরণির বাড়ি থেকেই সংস্থার কাজ চালাতেন স্বর্ণলতা সাউ৷ 

http://www.abpananda.newsbullet.in/kolkata/59-more/36290-2013-05-03-11-00-10

বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদা বিপর্যয়ের পরে রাজ্যজুড়ে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর অব্যাহত রয়েছে৷ প্রতিদিনই বিভিন্ন লগ্নি সংস্থার অফিসের সামনে উদ্বিগ্ন আমানতকারীদের ভিড়৷ টাকা ফেরত দিতে না পারায় ক্ষোভ আছড়ে পড়ছে সংস্থার দফতরে৷ চলছে ভাঙচুর-মারধর৷


শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় এটিএম গ্রুপ অব কোম্পানিজ নামে এক লগ্নি সংস্থার অফিসের সামনে ভিড় করেন আমানতকারীরা৷ কিন্তু অফিস বন্ধ দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তাঁরা৷ তালা ভেঙে চলে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুঠপাট৷ 
টাকা ফেরতের দাবিতে বীরভূমের বোলপুরে লগ্নি সংস্থা ইউরো গ্রুপের অফিসেও ভাঙচুর আমানতকারীদের৷ অভিযোগ, মেয়াদ ফুরনোর আগে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার৷ এরপরেই ভাঙচুর চলে লগ্নি সংস্থার অফিসে৷ 
অন্যদিকে, সংস্থার ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের অভিযোগ, তাঁকে চড় মেরেছেন এক আমানতকারী৷ মুচলেকা দিয়ে এক আমানতকারীর টাকাও ফেরত দেন ম্যানেজার৷ বিক্ষোভকারীদের সামনেই লগ্নি সংস্থা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি৷ 
সারদাকাণ্ডে প্রতারিতের সংখ্যা কয়েক লক্ষ৷ আতঙ্কিত আমানতকারীর সংখ্যাটা কয়েক গুণ৷ সবার একটাই প্রশ্ন, সময় মতো ফেরত পাওয়া যাবে তো কষ্টের টাকা? 

http://www.abpananda.newsbullet.in/state/34-more/36296-2013-05-03-13-47-43

প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক লগ্নি সংস্থার দুই অধিকর্তা৷ প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের৷ পুলিশের অনুমান, আমানতকারীদের থেকে প্রায় ২-৩ কোটি টাকা তুলেছে সংস্থাটি৷


সারদাকাণ্ডের পরই সামনে এসেছে অন্যান্য একাধিক লগ্নি সংস্থা ঘিরে কেলেঙ্কারি৷ এবার খাস কলকাতাতেই প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার এক লগ্নি সংস্থার দুই অধিকর্তা৷ ধৃতদের নাম অসীমকুমার সাহা ও ভবতোষ দাস৷ 
কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটের দুই আমানতকারী অভিযোগ করেন, সংস্থাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে জমি পাইয়ে দেবে বলে তাঁদের থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছে৷ কিন্তু, সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর তাঁরা টাকা ফেরত চাইলে সংস্থার তরফে তা দিতে অস্বীকার করা হয়৷ এরপরই তাঁরা কালীঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ 
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে দেখা যায়, সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক৷ লগ্নি সংস্থাটি বহু মানুষকেই জমির কাগজ দিয়েছে৷ তবে পুলিশের অনুমান, সেই নথিও ভুয়ো৷ পাশাপাশি, আমানতকারীদের থেকে এখনও পর্যন্ত সংস্থাটি ২-৩ কোটি টাকা তুলেছে বলেও মনে করছে পুলিশ৷

বুধবার সংস্থার দুই অধিকর্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ অসীকুমারসাহাকে কালীঘাট থেকে এবং ভবতোষ দাসকে যাদবপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬ ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ, ৪২০ ধারায় প্রতারণ-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷এই সংস্থার পিছনে আরও বড় কোনও চক্র রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ 

http://www.abpananda.newsbullet.in/kolkata/59-more/36215-2013-05-01-08-44-49


কলকাতা: রেলে বেলাইন তৃণমূল৷ রেলের কর্মী ও শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচনে প্রথম লড়তে নেমে ইউনিয়নের স্বীকৃতি আদায়ে ব্যর্থ হল তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠন৷ রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাননি, রেল ইউনিয়নের ভোটে  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক তাঁর দলের প্রভাবিত কর্মী শ্রমিক ইউনিয়ন৷ কারণ, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে তৃণমূলের প্রভাবের খামতি রয়েছে, এটা তিনি জানতেন৷ কিন্তু তিনি রেলমন্ত্রক ছেড়ে দেওয়ার পর প্রথম ভোটে লড়তে গিয়ে রাজ্যের তিনটি জোনের কোনওটিতেই ইউনিয়নের স্বীকৃতি আদায়ে ব্যর্থ তৃণমূল৷ 
রেলের কর্মী ও শ্রমিক ইউনিয়নের ভোটের ক্ষেত্রে নিয়ম হল, একটি জোনে ন্যূনতম ৩৫ শতাংশ ভোট না পেলে ইউনিয়নের স্বীকৃতি মেলে না৷ আর ১৭টি জোনের মধ্যে অন্তত ৯টিতে ইউনিয়নের স্বীকৃতি না পেলে রেল বোর্ডের কাছ থেকে ফেডারেশনের স্বীকৃতিও পাওয়া যায় না৷ পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব এবং মেট্রো, এই তিনটি জোনেই ইউনিয়নের স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে বাম প্রভাবিত কর্মী ও শ্রমিক সংগঠন৷ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়েতে স্বীকৃতি পেয়েছে কংগ্রেসও৷ 
মেট্রো রেলওয়েতে বাম প্রভাবিত রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়ন পেয়েছে ৪৬.১১ শতাংশ ভোট৷ কংগ্রেস প্রভাবিত ওয়াকার্স কংগ্রেস ২৭.৪৪ শতাংশ ও তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক কংগ্রেস পেয়েছে ২৩.৬০ শতাংশ ভোট৷ পূর্ব রেলে বাম প্রভাবিত মেন্স ইউনিয়ন পেয়েছে ৪৬.৪৪ শতাংশ ভোট৷ মেন্স কংগ্রেস পেয়েছ ৩৬.১১ শতাংশ ভোট৷ তৃণমূল প্রভাবিত ওয়ার্কার্স কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ১১.৬৫ শতাংশ৷ দক্ষিণ-পূর্ব রেলে আবার ৪৫.৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম স্থানে কংগ্রেস মেন্স ইউনিয়ন৷ বাম প্রভাবিত রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়নের ঝুলিতে গিয়েছে ৪১.৬৯ শতাংশ ভোট৷ তৃণমূল প্রভাবিত মেন্স তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৫.২১ শতাংশ ভোট৷ 
অথচ এই নির্বাচনে জয়ের জন্য সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ প্রচারে নেমেছিলেন মদন মিত্র, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, দোলা সেন-সহ হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা৷ বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়করাও প্রচারে নামেন৷ এমনকী, মেট্রো রেলওয়ে নির্বাচন ও পূর্ব রেলের কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপ নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে৷ সেই প্রেক্ষাপটে তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠনের এই ধাক্কা খাওয়া তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ এদিকে রেলের ভোটে তৃণমূল প্রভাবিত ইউনিয়নের পরাজয়ে রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী কটাক্ষ করেছেন, রেল মন্ত্রকটাই তৃণমূলের হাতে থাকাকালীন মুখ থুবড়ে পড়েছিল৷ রেল কর্মীরা তা সব থেকে ভালো জানেন৷ নির্বাচনে তার জবাব পেয়েছে তৃণমূল৷ 

http://www.abpananda.newsbullet.in/state/34-more/36280-2013-05-03-07-16-28


সাত দিনের পুলিসি হেফাজতের শেষে আজ ফের আদালতে পেশ করা হল মনোজ নাগেলকে। পুলিস তার বিরুদ্ধে নতুন একটি ধারায় মামলা করার আর্জি জানিয়েছে। আদালত নাগেলের আরও পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিল। প্রাইজ চিট অ্যান্ড মানি সার্কুলেশন স্কিম ব্যানিং অ্যাক্ট উনিশ আটাত্তরের দুইএর সি ধারাটিও সংযোজন করতে চলেছে পুলিস। 

এর আগে চারশ কুড়ি, চারশ ছয় ও চৌত্রিশ নম্বর ধারায় পুলিস তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। এর পাশাপাশি আসানসোল পুলিসও আজ মনোজ নাগেলের জামিনের বিরোধিতা করছে। গত ২৭ এপ্রিল আসানসোলে সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখার্জি , অরবিন্দ সিং চৌহান ও মনোজ নাগেলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে মনোজকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে আসানসোল পুলিস। তাই তারা জামিনের বিরোধিতা করে। 

বিধানগর পুলিস আজ ফের মনোজ নাগেলের সাতদিনের হেফাজতের দাবি জানাচ্ছে। গত বিশে এপ্রিল বিধাননগরের ইলেট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় বেতন না মেলায় অভিযোগ দায়ের করেন একটি সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিস প্রথমে মনোজ নাগেলকে গ্রেফতার করে। 


হীরক জয়ন্তীতে রুপোলি পর্দায় সোনার স্বপ্নগুচ্ছ

শর্মিলা মাইতি


ছবির নাম- বম্বে টকিজ
রেটিং- ****1/2

এক্সিট ডোর দিয়ে পিল পিল করে বেরোচ্ছে দর্শক। ঘেঁটে যাওয়া কাজল-মাসকারা, স্বপ্নে বিভোর চোখে লেগে থাকা আস্ত বলিউড নিয়ে যেন বেরোলেন সবাই। ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো-তে স্বচক্ষে দেখা ভিড়। করণ জোহর, দিবাকর ব্যানার্জি, জোয়া আখতার, অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালক-চতুষ্টয় যেভাবে অলিগলি, বস্তি, ফুটপাথ, উচ্চমধ্যবিত্তের চার দেওয়াল, শিশুর স্বপ্নের আনাচকানাচ থেকে বলিউডকে কুড়িয়ে এনে কোলাজ বানালেন, এক কথায় অবিস্মরণীয়!

এ ছবি দেখার জন্য তিনটি জিনিস আবশ্যক। দূরবীন, আতসকাঁচ আর রুমাল। কখন যে আপনারদর্শনেন্দ্রিয় বিট্রে করবে আপনি জানতেই পারবেন না। রুমালটা সেই জন্যেই। সব ছবিই নামহীন। নম্বরহীন, শুধুই পরিচালকের নাম লিখে, ডায়রির পাতা ছিঁড়ে আনা হল যেন। শতবর্ষ ধরে কোটি কোটি মানুষের বোতলভরা জিন হয়ে বেঁচে থাকে যে বলিউড, দরিদ্রের অধরা বিশ্বের প্রতিভূ হয়ে বেঁচে থাকে যে রঙমহল, শিশুমনের গুপ্ত কুঠুরি হাতড়ে মণিমুক্তোর সন্ধান দেয় যে বলিউড, ক্যালেইডোস্কোপে সেটাই দেখালেন এঁরা। 

বলিউডের সঙ্গীত আকাশের সপ্তর্ষিমন্ডলে যে গানগুলি খচিত থাকবে, তার মধ্যে একটি গান অবশ্যই মদনমোহন-লতা মঙ্গেশকর ম্যাজিকের লগ যা গলে...করণ জোহরের এই অণুছবিতে এমন ধ্রুবপদ হিসেবে ব্যবহার করলেন, যা এ যাবত্ আর কোনও ছবিতেই দেখাতে পারেননি। সমালোচনার অবকাশ রেখেই বলা যায়, চারটি গল্পের মধ্যে হিসেবে একটু কম শক্তিশালী হলেও করণ জোহরের শ্রেষ্ঠ ছবি অবশ্যই এটা। রানি মুখার্জি এখানে এক মসালা ম্যাগাজিনের এডিটর। স্বামী রণদীপ হুদা কাজ করেন এন্টারটেনমেন্ট চ্যানেলে। সমকামী যুবকের (সাকিব সালিম) অনুপ্রবেশই তছনছ করে দেয় তাদের মূল্যবোধ, পারস্পরিক বোঝাপড়ার ক্ষীণ সুতোটি। সেই যুবক রণদীপকে নিয়ে যায় কিশোরীর গান শোনাকে। পথের প্রান্তে রুজিরুটির জন্য যে কিশোরী কণ্ঠে সরস্বতী নিয়ে বসে থাকে, বলিউডের রঙিন দুনিয়া একদিন নতজানু হয়ে বসল তার কাছেই। কাপড়ের পুতুল দিয়ে ঢেকে রাখা পয়সার বাক্স, বড় বেশি মনে দাগ কাটে চিত্রকল্প।

দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সত্যজিত্ রায়ের ছোটগল্প `পটলবাবু ফিল্মস্টার-এর আদলে নির্মিত। মুখ্য ভূমিকায় নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। এই সময়ের সবচেয়ে উজ্জ্বল নায়ক। নিম্ন মধ্যবিত্তের বলিউডি স্বপ্ন। প্রতি ছাপোষা বাঙালির অবচেতনে আজও এক একজন পটলবাবু বাস করেন। নায়কের সঙ্গে ধাক্কাম্যান-এর চরিত্রে নেওয়া হয় যাঁদের। শেষের দিকটি অপূর্ব। এই গল্পটি দেখার জন্য ছবিটি আরও দু` তিনবার দেখতে লাভ বই ক্ষতি নেই। নওয়াজ যে বলিউড ছবির বিরল প্রতিভার আসনটা পোক্ত করেই চলেছেন, বলার অপেক্ষা রাখে না। শিশুমনের প্যান্ডোরা বাক্স উজাড় করে দিলেন জোয়া আখতার। ছোট্ট ছেলেটির ডান্সার হওয়ার স্বপ্ন মোটে আমল দেয় না বাবা। ছোটদের অন্তর্জগতে যে বলিউড ইন্দ্রজালের মায়া ছড়ায় তার অন্যতম কারণ, ছোটরা সহজেই বিশ্বাস করে, আর বিশ্বাসটা বড় বেশি দৃঢ় হয়ে যায়। বলিউড এখানে ড্রিম মার্চেন্ট, স্বপ্নের সওদাগর। জোয়ার গল্পটি নিটোল। একটি গুরুত্বপূর্ণ মেসেজও আছে। আর মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছে ছোট্ট ছেলেটি, যাকে চিলার পার্টিতে দেখেছেন আপনারা..

অমিতাভ বচ্চন তামাম ভারতীয়ের মনে দিল কা মুরাব্বা হয়ে আছেন। অনুরাগ কাশ্যপ সেই বিশ্বাস, ভরসা ও আবেগের নিটোল গ্লোবটাকে দেখিয়ে দিলেন অনুপুঙ্খভাবে। এই ছবিটিকে অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে ট্রিবিউটও বলা যেতে পারে। ভারতবর্ষের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে অমিতাভ বচ্চনকে এক ঝলক দেখার উদ্দেশ্যে মানুষগুলো ছুটে এসে মুম্বইতেই রুজিরুটির কারবার শুরু করেন। কারও স্বপ্ন সফল হয়, কারও স্বপ্ন হারিয়ে যায় মধ্যপথেই। প্রতিটি গল্পেই যেমন শেষ চুমুকের চমক আছে, এ ছবিও তার ব্যতিক্রম নয়। দ্য এন্ডের পরেও পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরা দোস্ত! আমরা দেখি হলদে বেগুনি আভার সুদৃশ্য মাল্টিপ্লেক্সে পপকর্ন-ভুক এক সদ্যযুবক ঢুকল সিনেমাহলে। একশ বছরের বলিউড পরী হয়ে হাতছানি দিল তাকে। বলিউড টকিজ এবার পথ থেকে ছবির হলে ঢুকল। একেবারে বিপরীতমুখী যাত্রাপথ। অন্য সব ছবি আমরা হলের ভেতরে ঢুকে দেখে আসি, এ ছবি আমরা দেখলাম হলের বাইরে থেকে। শেষ হওয়ার পর ঢুকলাম রুপোলি জগতে। তালিকায় বলিউডের কেউ বাদ নেই, ইতিমধ্যেই আপনারা এই বিখ্যাত ট্রেলরটি দেখে ফেলেছেন। যেখানে দিলীপ কুমার, অমিতাভ থেকে এযুগের রণবীর ইমরান আপনাকে নেচে গেয়ে এন্টারটেন করছে, আপনার সবকটি ইন্দ্রিয়কে বশ করে দিচ্ছে। যে বশীকরণের মন্ত্রের অমোঘ আকর্ষণে আজও আপনি প্রতি শুক্রবার দৌড়ে আসেন সিনেমাহলের নীল-নিভৃতে। বার বার বিনোদনের জন্য!

এক কথায়, প্রতিটি অনুছবিতে স্তরে স্তরে অর্থ। যে মানেটা আপনার মনকে সবচেয়ে ভাল বিশ্লেষণ করে দেবে, সেটাকেই আমল দিন। দেখবেন মন পরিপূর্ণতায় ভরে গিয়েছে। বলিউড ছবিতে পূর্ণতার অভিজ্ঞতা এনে দিল বলিউড টকিজ। ভাল লাগল রানির অভিনয়ও। অনেকদিন সকলে মিস করছিলেন যেটা।

http://zeenews.india.com/bengali/entertainment/film-review-bombay-talkies_13150.html

No comments: