Follow palashbiswaskl on Twitter

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity Number2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Zia clarifies his timing of declaration of independence

What Mujib Said

Jyoti Basu is dead

Dr.BR Ambedkar

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti Devi were living

Wednesday, November 20, 2013

উত্তম - অমল দ্বৈরথ

উত্তম - অমল দ্বৈরথ



অথচ 'প্লট নং ৫' প্রায় কোনও বুদবুদও কাটতে পারেনি দর্শককুলে৷ ভিলেন: সঠিক প্রচারের ভয়ংকর অভাব৷ প্রসঙ্গত উত্তমকুমারও এ ছবিতে ভিলেনের চরিত্রেই অভিনয় করেছিলেন৷ 

সত্তরের সেরা স্টারকাস্ট 

এটাই ছিল প্রথমবার যখন সত্তরের বলিউডের দুই অন্যতম শক্তিশালী অভিনেতা পরস্পরের মুখোমুখি হন৷ গল্পটা ছিল এক সিরিয়াল কিলারকে নিয়ে৷ 'সাসপেন্স ড্রামা'৷ আর সেই ছবির সূত্রেই এই দুই অভিনেতা একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান৷ ছবিতে ছিল না কোনও গান, কোনও রোম্যান্টিক দৃশ্য আর ছবির চিত্রনাট্যও ছিল এমন, যাতে গল্প এগোয় তরতর করে৷ 

এখন তো এমন ধরনের গল্প নিয়ে প্রচুর ছবিই হয়ে থাকে৷ কিন্ত্ত এটা যে সময়কার কথা, তখনকার হিসেবে সত্যিই নতুন ধরনের ছিল এই ছবির কনসেপ্ট-টি৷ কারণ ছবিটির কাজ শুরু হয় ১৯৭৮-এ৷ যতদূর জানা যাচ্ছে, উত্তমবাবু ১৯৮০ সাল নাগাদই এই ছবির কাজ সম্পূর্ণ করেন৷ তার আগে অবশ্য ১৯৬৯ সালে যশ চোপড়া নিজের সিগনেচার ঘরানা ছেড়ে 'ইত্তেফাক' বানিয়ে ফেলেছেন৷ কিন্ত্ত 'ইত্তেফাক'-এ কোনও 'সিরিয়াল কিলার' ছিল না৷ 'প্লট নং ৫'-এ সেটাই প্রধাণ৷ আর 'ইত্তেফাক'-এর মতোই এমন একটি গানহীন ছবিতেও কেবল আবহসঙ্গীত তৈরি করেছিলেন সলীল চৌধুরী৷ 

আর উত্তম কুমারের সঙ্গে আর কে ছিলেন সে ছবিতে? সত্তরের শেষের বম্বে (মুম্বই নামটা তখনও সরকারি হয়নি) ইন্ডাস্ট্রির প্রেক্ষিতে সেই স্টারকাস্ট-ও সাহসী এবং পরীক্ষামূলক৷ অমল পালেকর, প্রদীপ কুমার, সারিকা, বিজু খোটে, বেঞ্জামিন গিলানি, বিদ্যা সিনহা আর শ্রীরাম লাগু৷ এবং আমজাদ খান৷ 

হয়তো সময়ের চাইতে কিছুটা আগেই বানানো হয়ে গিয়েছিল ছবিটি৷ আর সেই কারণেই তত্‍কালীন দর্শকদের দেখার সুযোগও হয়েছিল কিঞ্চিত্‍ কম৷ তবে কলকাতায় কিন্ত্ত ছবিটি প্রায় ১০ সপ্তাহ চলেছিল এলিট সিনেমা হলে৷ সেই হিসেবে কলকাতায় ছোটখাটো হিট-ই বলা যায়৷ কিন্ত্ত বাদবাকি ভারতে সেইভাবে চলেনি ছবিটি৷ খুব বেশি হলে তিন থেকে চার সপ্তাহ৷ কোথাও কোথাও পাঁচ৷ সেই সময়ের হিন্দি ছবির প্রেক্ষিতে 'ফ্লপ'-ই বলতে হবে৷ হয়তো সেই সময় ভারতীয় দর্শক প্রস্ত্তত ছিলেন না 'প্লট নং ৫' ছবিটি দেখার জন্য৷ আর তাই খুব দ্রুতই জনমানস থেকে হারিয়ে যায় এর স্মৃতি৷ 

অমলের কথায় 

অমল পালেকর কিন্ত্ত ছবিটির কথা ভুলে যাননি৷ বিভিন্ন সাক্ষাত্‍কারে তিনি এ ছবির উল্লেখ করেছেন৷ বলেছেন, 'এই প্রথমবার এক মার্ডার মিস্ট্রির শ্যুটিং-এ আমি উত্তম কুমারের মুখোমুখি হই৷ ওঁর চরিত্রটা ছিল পক্ষাঘাত আক্রান্ত এক মানুষের৷ যিনি সব সময় হুইলচেয়ারে থাকতেন৷ আমি ওঁর ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করি৷ চিত্রনাট্যে সর্বক্ষণ এমনই ইঙ্গিত ছিল যে, আমিই অপরাধী৷ ছবির গল্প বাদ দিয়েও অন্য একটা কথা মনে থেকেই গিয়েছে৷ ছবিতে কাজ করার সময় উত্তমকুমার গোটা ইউনিটকে একটা পরিবারের মতো দেখতেন৷ সবাইকে আগলে রাখতেন৷ ওঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞাতাটাই আলাদা৷ সারা জীবন এই ছবিটার কথা মনে রাখব৷ যোগেশ সাক্সেনা পরিচালিত এই ছবি আমার অভিনয়-জীবনের অন্যতম সেরা ছবি৷' 

অমল পালেকরের মতোই আমজাদ খানও সেই সময় বেশ কিছু সাক্ষাত্‍কারে একইভাবে স্মৃতিচারণ করেছিলেন 'প্লট নং ৫'-এর৷ 

সরি আই অ্যাম নট স্মাইলিং 

সেই সময় খুব বেশি আলোকচিত্রী শিল্পী ছবির শ্যুটিং-এ পৌঁছতে পারেননি৷ যে ক'জন পৌঁছান, তাঁদের মধ্যে দিল্লির এন কে সারিন অন্যতম৷ সারিন যখন ছবির সেটে পৌঁছান, বলা যায় ছবির ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যের শ্যুটিং চলছে৷ ছবির অধিকাংশ দৃশ্যই ইন্ডোরে শ্যুট করা হলেও এই বিশেষ দৃশ্যটি ছিল আউটডোরে৷ তাঁর ক্যামেরায় যে দৃশ্য ধরা পড়েছিল, তার সঙ্গে সারিনের কথা রইল 'অন্য সময়'-এর পাঠকদের জন্য৷ 

অমল পালেকর এবং উত্তম কুমার দু'জনেই অত্যন্ত বিরক্ত সেই দিন৷ বার বার একই দৃশ্যের শট নিতে হচ্ছিল৷ দু'জনেরই মেজাজ ছিল তিরিক্ষে৷ সেটা প্রভাব ফেলছিল তাঁদের কাজেও৷ 

উত্তমকুমার সেটের এক কোণে বসে একের পর এক সিগারেট খেয়ে যাচ্ছিলেন৷ যে সময়টায় অমল বসেছিলেন সম্পূর্ণ উল্টো দিকের এক কোণে৷ মুখ ভারি৷ পরিবেশ গম্ভীর৷ কিছু যে একটা গণ্ডগোল হচ্ছে, আমি সহজেই টের পাচ্ছিলাম৷ 

আমি জানতাম ওই দিনই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যের শ্যুটিং আছে৷ উত্তম কুমার এবং অমল পালেকরের খারাপ মেজাজ পরিবেশকে বেশ গম্ভীর করে দিয়েছিল৷ আর সেই কারণেই একের পর এক 'টেক-রিটেক' হয়ে চলেছিল৷ 

উত্তম কুমারের ছবি তুলি৷ একই দিনে অমল পালেকরের ছবিও তুলি৷ কিন্ত্ত দু'জনে কখনওই এক ফ্রেমে আসেননি৷ দু'জনে একই ধরনের গাউন পরেছিলেন৷ কিন্ত্ত রং ছিল আলাদা৷ তবে সেদিন অমলের ছবি তোলায় আমার বিশেষ উত্‍সাহ ছিল না৷ কারণ এর আগে বহুবার ওঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে৷ সেদিন আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিলেন উত্তম কুমার৷ কিন্ত্ত সেই দিনটাতেই তাঁর মেজাজ ছিল খুব খারাপ৷ 

যখন তাঁর দিকে ক্যামেরা তাক করি, তিনি হাসেনওনি৷ শুধু তাকিয়ে ছিলেন৷ বোঝা যাচ্ছিল সেটে যা হয়েছে, তারই রেশ রয়ে গিয়েছিল উত্তমবাবুর মনেও৷ ব্যাপারটাকে যে কেউ ইচ্ছেমতো ইন্টাপ্রেট করতে পারেন৷ আমার মনে হয়েছিল এটা মারাত্মক মনঃসংযোগ৷ কাজের মধ্যে শরীর এবং মন সম্পূর্ণ রূপে ডুবিয়ে দেওয়া৷ নিজের কাজে এইভাবে মনোনিবেশ করতে খুব কম অভিনেতা-অভিনেত্রীকেই দেখেছি৷ সেদিন দেখেছিলাম উত্তমকুমারের মধ্যে৷ ওই একবারই উত্তমকুমারের সঙ্গে আমার দেখা হয়৷ 

কোনটাই বা ছিল সেই দৃশ্য, যাতে এতো মনঃসংযোগের প্রয়োজন পরে? সারিন মনে করতে পারছেন না৷ তার অন্যতম কারন, দৃশ্যটি শ্যুট হতে এত দেরি হচ্ছিল, যে তিনি আব অপেক্ষা করেননি৷ তা ছাড়া উত্তমকুমারের যেমন ছবি পাবেন মনে করে তাঁর সেটে আসা, তা-ও হয়নি৷ তিনি খানিক বিরক্তি নিয়েই সেট পরিত্যাগ করেন৷ এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমরা কেবল অনুমানই করতে পারি মাত্র৷ সারিন শ্যুট করেছিলেন আউটডোরে৷ এবং ছবিতে উত্তম-অমলের আউটডোর সিন একটিই ছিল৷ সেই সিনে হুইলচেয়ারে বসা উত্তম তীরধনুকে টার্গেট প্র্যাক্টিস করছেন৷ আর চলছে তর্কবিতর্ক৷ ছোট ভাইয়ের সঙ্গে৷ উত্তমের ধনুক এবং অভিযোগ তীর- দু'টোরই লক্ষ্য অমল! 

সে কারণেই কি এত গম্ভীর ছিল সেটের পরিবেশ?

No comments: