মৃতদের বেশিরভাগই বহুতলে নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মৃতদের মধ্যে দশ জন শিশু ও আট জন মহিলা রয়েছেন। তাদের মধ্যে এক গর্ভবতী মহিলার দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁর নাম শাকিলা ইমরান সিদ্দিকি। বাকি মৃতদেহগুলি এখনও শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে।
পুনের শিলপাতা এলাকায় মুম্বরা ও দমবিভলি টাউনশিপের মাঝামাঝি জায়গায় গড়ে ওই বহুতলটি কিছুটা অংশ বেআইনি ভাবে নির্মিত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর দুই নির্মাণকারী সালিল খালিল জমাদারের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক দুই প্রোমোটারের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহাণ উপ মুখ্যম্ন্ত্রী অজিত পাওয়ার। এখনও পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৬৯ জন। থানে ও আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের চিকিত্সা চলছে।
থানের কল্যান টাউনশিপ থেকে নির্বাচিত মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার বিধায়ক রমেশ পাটিল অভিযোগ করেছেন যে এই বহুতলটি নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করেই তৈরি হয়েছে বলে গত সপ্তাহেই তিনি পুরসভার কাছে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হলে এতবড় দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলে দাবি করেছেন তিনি। সাত তলা বাড়িটির উপরের তলাগুলিতে এখনও নির্মাণ কাজ চললেও, চার তলা পর্যন্ত অংশ বসবাসের কাজে ব্যবহৃত হত।
১২৯০ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এশিয়া মহাদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে ২৪টি। লোক মারা গেছেন ১৩৫৫৯২০ জন। এশিয়া মহাদেশে সবচাইতে ভূমিকম্প প্রবণ দেশ হলো জাপান। দ্বিতীয় চীন, তৃতীয় ভারত, চতুর্থ ইরান এবং পঞ্চমে পাকিস্তান। এই তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। তবে অবিভক্ত বাংলার রাজধানী কোলকাতার নাম আছে। মহাদেশ ভিত্তিক ভূমিকম্পে ২য় অবস্থানে রয়েছে উত্তর আমেরিকা। উত্তর আমেরিকার মহাদেশে ১ম ভূমিকম্প হয় ১৯৭২ সালে নিকারাগুয়ায়। আর শেষ ১২ জানুয়ারি ২০১০ হাইতিতে। মোট ভয়াবহ ভূমিকম্পের সংখ্যা ৭টি। মৃত্যের সংখ্যা ২২৯৬৬১ জন। ভূমিকম্পের ৩য় অবস্থানে রয়েছে ইউরোপ। ইউরোপে এ পর্যন্ত মোট ভয়াবহ ভূমিকম্পের সংখ্যা ৩টি। মৃত্যের সংখ্যা ১২০১০০ জন। ইউরোপের ৩টি দেশের মধ্যে ১ম ভূমিকম্পটি হয় ১১ জানুয়ারি ১৬৯৩ ইং ইতালীতে। লোক মারা যায় ৬০০০০ এবং শেষ ভূমিকম্প ৭ মে ১৯৯৫ শাখালিন দ্বীপ রাশিয়ায়। লোক মারা যায় ১০০০। ভূমিকম্পের ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে যৌথভাবে আফ্রিকা, অষ্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকা। এই ৩টি মহাদেশে এ পর্যন্ত ১টি করে ভূমিকম্প হয়েছে। ৩টি মহাদেশ মিলে মোট মৃত্যের সংখ্যা ১৩১২০০ জন। তাহলে সমসাময়িক কালের এক পরিসংখ্যানে জানা গেলো পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে ভূমিকম্প প্রবণ মহাদেশ হলো আমাদের এশিয়া মহাদেশ। ভূমিকম্পে আমাদের নিকট প্রতিবেশী দেশ চীন এবং ভারত ২য় শীর্ষে রয়েছে। ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক দুযর্োগ থেকে স্রষ্টার অপার অনুগ্রহে আমরা এখনও অনেক দূরে রয়েছি। আর কতদিন দূরে থাকা যাবে। আমাদের দেশে এখন প্রায়ই কম্পন অনুভুত হয়। মাঝে মাঝে মৃদু কম্পন অবশ্যই ভালো আলামত নয়। ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ডিজাষ্টার ঠেকিয়ে রাখা মানুষের পক্ষে অসাধ্য তবে এর ব্যক্তিক ক্ষতিকর দিক থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার কৌশল রপ্ত করা যায়। পৃথিবীর সকল দেশের সেরা ভূমিকম্প হয়েছিল আমাদের বঙ্গদেশ এবং চীনে। বঙ্গদেশ বলতে অবিভক্ত বাংলা এবং তৎকালীন ভারতবর্ষের রাজধানী কোলকাতা নগরী কেন্দ্রীক আশপাশ এলাকায়। তারিখ ১১ অক্টোবর ১৭৩৭। এই ভূমিকম্পে মানুষ মরেছিল ৩ লাখ। মৃত্যের দিক থেকে এই সংখ্যা এখন পর্যন্ত বিশ্বের আর কোন ভূমিকম্প থেকে অতিক্রান্ত হয়নি। যখন ভূমিকম্প আঘাত করে তখন কোলকাতা নগরীর বয়স মাত্র ষাট বছরের কাছাকাছি। নতুন শহর সবে গ্রামের ভূসামীয়ে বাড়িঘর এখনকার মত হাইরাইজ অত্যাধুনিক দালানকোঠা ছিল না। চুনসুরকির গাথুনিতে একতলা ঘর। তখনকার মাত্রায় ভূমিকম্প যদি এখন হয় তো কোলকাতা এবং বাংলাদেশের রাজধানী কেমন হবে তা একবার ভেবে দেখা দরকার। সুলতানী আমল ও বৃটিশ আমলের বাড়িঘর ঢাকায় এখনও আছে এবং উক্ত ধাঁচের বাড়িঘর গত শতাব্দী পর্যন্ত ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে তৈরি হয়েছে যা কোলকাতার মাত্রায় ভূমিকম্প হলে হুড়মুড় করে গায়ে গতরে ভেঙ্গে পড়বে। কাজেই ভূমিকম্পের হাত থেকে বাঁচতে হলে পুরাতন স্থাপনা অপসারণের বিকল্প নাই। ভূমিকম্পের ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়, বড় ধরণের ভূমিকম্পগুলো সাধারণত শেষ রাতেই হয়ে থাকে। যখন মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে। নড়বড়ে ছাদের নীচে শুয়ে নিদ্রিত অবস্থায় মানুষ নিজেকে কিভাবে রক্ষা করবে। কাজেই ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র শর্ত হলো মজবুত করে বাসস্থান নির্মাণ।(http://www.dainikdestiny.com/print_news.php?pub_no=110&cat_id=1&menu_id=54&news_type_id=1&index=3)
রং না দেখেই সিন্ডিকেট আটকান, জনতাকে মমতা |
বৃষ্টিতে ছাতার ভিড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সুমন বল্লভ |
সিন্ডিকেট-দৌরাত্ম্যে লাগাম টানতে এ বার জনতাকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তোপ দাগলেন প্রোমোটার-রাজের বিরুদ্ধেও। আম জনতার উদ্দেশে তিনি বললেন, "এ সব চলতে দেবেন না। যে পার্টির নেতাই হোক না কেন, কাউকে ছাড়বেন না।'' শনিবার উত্তর কলকাতার টালায় এক জল প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই বক্তৃতায় এ দিন বারবার ফিরে এসেছে সিন্ডিকেট ও প্রোমোটার চক্রের বিরোধিতা। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে একাধিক বার জোর করে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। তাতে আটকে পড়েছে সরকারি কাজও। কখনও কখনও সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দলের নেতাদের বিরুদ্ধেও। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কিছু কিছু প্রোমোটারের গ্রাসে শহরের সবুজ ধ্বংস হচ্ছে। আর তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সিন্ডিকেটের দাপট। জোর করে ওদের মাল নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।" এই সব কাজ রুখে দিতে সাধারণ মানুষকেই এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি। এ দিন মমতার বক্তৃতায় উঠে এসেছে শহরের সৌন্দর্যায়নের প্রসঙ্গও। দলীয় কাউন্সিলরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "এলাকায় ঘুরুন। কোথায় সবুজ নষ্ট হচ্ছে, রাস্তাঘাট খারাপ হয়ে আছে সে সব দেখুন।" শহরের সৌন্দর্য তুলে ধরতে তিনি হরিশ মুখার্জি রোডের উদাহরণ দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, "সেখানে যে ভাবে কাজ হয়েছে, সারা শহর সে ভাবে সাজাতে পারলে কলকাতার 'শ্রী' বাড়বে। http://www.anandabazar.com/archive/1120923/23raj3.html মুম্বইঃ মুম্বইয়ের থানেতে বহুতল ভেঙে মালদার ৮ শ্রমিক-সহ হত ৪১৷ আহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৬০-এ৷ এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ নির্মাণকারী সংস্থার ২ মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ৷ http://www.abpananda.newsbullet.in/national/60-more/35328-2013-04-05-05-03-53 মুম্বই-এর ঠানেতে বহুতল ভেঙে মৃতদের মধ্যে রয়েছে মালদার ১০ জন শ্রমিকের৷ গ্রামে কাজ ছিল না৷ কাজের খোঁজেই সুদূর মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন ওঁরা৷ মালদার কালিয়াচক্ থানার দুলালগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুরের ১০ শ্রমিক৷ কিন্তু, ওঁদের পরিণতি যে এইরকম হবে, তা ভাবতে পারেনি কেউ৷
|
ফের আগুনের গ্রাসে স্টুডিও৷ এবার কুঁদঘাটের দাসানি স্টুডিও৷ আহত ৫ কর্মী৷ অসুস্থ অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আজ দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ স্টুডিওয় আগুন লাগে। তখন স্টুডিওর এসি ফ্লোরে রিয়েলিটি শোয়ের শ্যুটিং চলছিল৷ হঠাত্ বাল্ব ফেটে বিপত্তি৷ মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে৷ ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা এসি ফ্লোর৷ ১০০-১৫০ কর্মী আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন৷ বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়৷ খবর যায় রিজেন্ট পার্ক থানা ও দমকলে৷
দমকলের ৩টি ইঞ্জিন প্রথমে পোঁছয় দাসানি স্টুডিওয়৷ কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা ফ্লোর৷ মিনিট ১৫-র মধ্যেই দমকলের আরও ৩ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ পৌঁছন বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা৷ ফ্লোরে কেউ আটকে আছেন কীনা চলে খোঁজ৷ নন এসি ফ্লোর থেকে এসি ফ্লোরে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা ভেতরে ঢোকেন৷ ফ্লোরের মধ্যে আটকে ছিলেন অনেক কর্মী৷ তাঁদের উদ্ধার করা হয়৷ প্রচণ্ড ধোঁয়ায় পাঁচজন টেকনিসিয়ান অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ পরে তাঁদের মধ্যে দু'জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷
ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷ আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হন এক দমকল কর্মী৷ তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ দমকলের অভিযোগ, স্টুডিওয় অগ্নি নির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা ছিল না৷ তাই একটি বাল্ব ফেটে ভয়াবহ আগুনের আকার নেয়৷
ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস৷ তাঁর অভিযোগ,দিনের পর দিন বলার পরও স্টুডিওগুলোয় অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা করা হয়নি৷দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন, স্টুডিওর ভেতরে প্রচুর জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়েছে৷
http://www.abpananda.newsbullet.in/entertainment/movie/35348-2013-04-05-12-24-01
উদ্ধারকাজে দমকল ছাড়াও তলব করা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। তাঁদের তত্ত্বাবোধানেই রাতভর চলে উদ্ধারকাজ। তখনই ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে একটি শিশুকে উদ্ধার করেন দমকলকর্মীরা। ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও কেউ আটকে রয়েছেন কিনা, সেটা জানতে তল্লাসি অভিযান চালিয়ে যাওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের অভিযোগ, বহুতলটি বেআইনি ভাবে তৈরি হচ্ছিল।
বাড়ির মালিক পলাতক।
ঘটনার পুর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশসক।
বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কড়া আইন রয়েছে পুরসভার হাতে। কিন্তু তা প্রয়োগ করার 'বাস্তব' পরিস্থিতি নেই। শহরের বিপজ্জনক বাড়িগুলি ভাঙার ক্ষেত্রে কার্যত এই কানাগলিতেই ঘুরপাক খাচ্ছে পুরসভা। এ বিষয়ে নতুন আইনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও সরকারের কাছে দরবার করতে চান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
গত বুধবার ক্রিক রো-এর একটি বিপজ্জনক বাড়ি থেকে রাস্তায় চাঙড় খসে পড়ার প্রেক্ষিতেই ফের এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ওই ঘটনার পরে ক্রিক রো-এর বাড়িটির কিছুটা অংশ ভাঙা শুরু হয়েছে। কিন্তু আইন থাকা সত্ত্বেও কেন গোটা বাড়িটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে এমন বিপজ্জনক বাড়ির সংখ্যা প্রায় দু'হাজার। এখন প্রশ্ন উঠছে সেই সব বাড়ি নিয়েও। অভিযোগ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্য বাড়ির ছাদে উঠে লোহার পাইপে সাবধানে পা ফেলে ঢুকতে হয় সেই বাড়িতে। কোনও বাড়ি আবার এমন ভাবেই হেলে পড়েছে যে, আশপাশের বাসিন্দাদের সর্বক্ষণ আশঙ্কায় থাকতে হচ্ছে। পুরসভার তবু কোনও হেলদোল নেই।
মেয়রের বক্তব্য, "কোনও বিপজ্জনক বাড়িকে পুরসভা নোটিস দিতে পারে। তা ভেঙেও ফেলতে পারে। কিন্তু বাসিন্দাদের বাড়িছাড়া করার 'ক্ষমতা' পুরসভার নেই। কারণ, তাঁদের পুনর্বাসন দিতে পারবে না পুরসভা। এটাই বাস্তব পরিস্থিতি।"
পুর-আইন মোতাবেক কোনও বাড়িকে 'বিপজ্জনক' ঘোষণা করে নোটিস দেওয়ার পরে সেটিকে ফাঁকা করে ঘিরে দেবে পুরসভা। তার পরে সেটি ভাঙা হবে। এ সবের খরচ মেটাতে হবে বাড়ির মালিককে। এক পুর-কর্তা বলেন, "অনেক ক্ষেত্রে বাড়ির মালিক কে, তা জানা যায় না। কখনও শরিকদের গোলমালে আটকে যায় গোটা প্রক্রিয়া। সে ক্ষেত্রে বাড়ি খালি করা এবং ঘেরার খরচ কে দেবে, তা নির্ধারণ করা দুষ্কর হয়ে পড়ে।"
কিন্তু বিপজ্জনক বাড়ি না ভাঙলে যে কোনও দিন বড় বিপদ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের অফিসারদের একাংশই। তাঁরা জানিয়েছেন, বাড়িতে লোক থাকলে তা ভাঙা যাবে না বলে অলিখিত নির্দেশ জারি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে পুরসভা শুধু নোটিস দিয়ে থাকে। ক্রিক রো-এর বাড়িটিতে দেড় বছর আগে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। ভাঙার চেষ্টাই হয়নি।
কলকাতা পুর-আইনের ৪১১ ধারা এবং তার পাঁচটি উপধারায় বিপজ্জনক বাড়ির বিষয়ে পুরসভা কী করতে পারে, তার নির্দেশিকা আছে। ওই আইনের ৪(বি) ধারায় বলা আছে, প্রয়োজনে পুরসভার কমিশনার বাসিন্দাদের তৎক্ষণাৎ সরিয়ে বাড়িটি ভেঙে দিতে পারবেন।
বিল্ডিং বিভাগের এক কর্তা জানান, ৪(বি) ধারাটির সঠিক প্রয়োগই হচ্ছে না। বিপজ্জনক বাড়িগুলির অধিকাংশের ক্ষেত্রেই কোনও না কোনও মামলা আছে। সেই মামলার অজুহাত দিয়ে পুরসভা বাড়ির বিপজ্জনক অংশ ভাঙছে না। যদিও আইনে বলা আছে, মামলা থাকলেও নাগরিকদের সুরক্ষাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এমন ক্ষেত্রে মেয়রের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।
কিন্তু পুরসভা কেন সেই আইন প্রয়োগ করছে না? বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের সমস্যাকেই মূল কারণ বলে চিহ্নিত করছেন মেয়র।
তবে ওই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনও চেষ্টা কি পুরসভা করেছে? মেয়র বলেন, "রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রয়োজনে আইন বদলাতে হবে।" অর্থাৎ, বিপজ্জনক সব বাড়ির বিপদ থেকে মুক্তি পেতে আপাতত সংশোধিত আইনের দিকেই তাকিয়ে থাকবে কলকাতাবাসী।
http://abpananda.newsbullet.in/kolkata/59-more/25870-2012-07-20-09-13-24
'বিপজ্জনক' বাড়িতে তকমাই সার, মেয়র দুষছেন মকদ্দমার জটকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
১২১ নম্বর লেনিন সরণির বাড়িটায় 'সাবধান, বিপজ্জনক' লেখা নোটিস পুরসভা ঝুলিয়েছিল বছর দশেক আগে। ফ্যাকাসে সেই নোটিসের কিছুই এখন পড়া যায় না। বাড়ির ভিতরে ঢুকতে ভয় হয়, এই বুঝি ভেঙে পড়ল। তবে বাড়ির মালিক বা ভাড়াটে বা পুর-কর্তৃপক্ষের এত দিন বিশেষ হেলদোল ছিল না। হয়তো এখনও থাকত না, যদি না বুধবার ১১ নম্বর ক্রিক রোয়ের বিপজ্জনক বাড়ির একাংশ রাস্তায় ভেঙে পড়ত। ওই ঘটনার পরে বাসিন্দাদের মনে আতঙ্ক ঢুকেছে। পাশাপাশি কিছুটা হলেও টনক নড়েছে পুর-প্রশাসনের। হাত পড়েছে 'বিপজ্জনক বাড়ি'র পুরনো ফাইলে। বিল্ডিং দফতরের ভার তো স্বয়ং মেয়রেরই হাতে! তিনি কী বলছেন? সমস্যাটা যে গুরুতর, তা স্বীকার করে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, "আমরা চাই না, বিপজ্জনক বাড়িতে কেউ বাস করুক। বার বার আবেদনও করা হচ্ছে। কিন্তু সাড়া মিলছে না।" তাঁর দাবি, "কোথাও বাড়িওয়ালা-ভাড়াটে বিবাদ, কোথাও বা মামলা-মোকদ্দমার জন্য বাড়ি সারাতে দেরি হচ্ছে।" যদিও কলকাতা পুর-বিধির ৪১১(৪) উপধারায় পরিষ্কার বলা আছে, বিপজ্জনক বাড়ি থেকে সাধারণ মানুষের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে পুর-প্রশাসন তা ভেঙে দিতে পারে। |
ভাঙাচোরা বাড়ি। ক্রিক রো-তে। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র |
বিধি থাকলেও ডান বা বাম কোনও পুরবোর্ডই সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। ফলে যখন-তখন বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা। এমনকী ১২১, লেনিন সরণির গৌতম মেটেও বলছেন, "কোনও বাড়ি ভেঙে পড়লে তো বাসিন্দাদের সঙ্গে পথচলতি মানুষেরও আঘাত লাগতে পারে! সকলের নিরাপত্তার কথা পুরসভার ভাবা উচিত।" কী ভাবছে পুরসভা? মেয়র বলেন, "বেশ কিছু বাড়ির যা হাল, তাতে বেশি দিন চুপ করে বসে থাকা যাবে না। আজ না হয় কাল, হস্তক্ষেপ করতে হতে পারে। রাজ্য সরকারের বিভাগীয় মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। তার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।" পুর-সূত্রের খবর: ক্রিক রো, বড়বাজার, পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিট, বিবেকানন্দ রোড, ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিট, স্ট্র্যান্ড রোড, লেনিন সরণি-সহ কলকাতায় বিপজ্জনক বাড়ি প্রায় আড়াই হাজার। ২০০০ সালে তৃণমূলশাসিত পুরবোর্ডের আমলে সেগুলোয় নোটিসবোডর্র্ লাগানো শুরু হয়। তাতে কাজ হল না কেন? তদানীন্তন মেয়র পারিষদ (বিল্ডিং) স্বপন সমাদ্দারের ব্যাখ্যা, "ভাবা হয়েছিল, নোটিস দেখে চক্ষুলজ্জার খাতিরে অনেকে বাড়ি সারাবেন। বাস্তবে তা হয়নি।" এক পুর-কর্তার মন্তব্য, "এখনও বহু বাড়িতে অনেকে ৩০ টাকা ভাড়ায় আছেন। নিজেদের ফ্ল্যাট থাকতেও ভাড়াবাড়ি ছাড়েননি। বাড়িওয়ালারাও বাড়ি নিয়ে মাথা ঘামান না।" বিবেকানন্দ রোডের এক বিপজ্জনক বাড়ির মালিকের আক্ষেপ, "কুড়ি-তিরিশ ঘর ভাড়াটে থাকলেও ভাড়া নামমাত্র। সংসার চালানোর টাকাই জোটে না! বাড়ি সারাব কী করে?" মানিকতলা মোড়ের কাছে দেখা গেল, তিনতলা বাড়ির গাড়িবারান্দা ঝুলছে। যে কোনও সময়ে ধসে পড়তে পারে। তারই নীচে দোকানে বসা মহিলা বললেন, "প্রাণ হাতে করে রোজ দোকান খুলি।" এক পড়শি জানালেন, বাড়ির 'বিপজ্জনক' নোটিসবোর্ডটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিগত বাম পুরবোর্ডের বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ দীপঙ্কর দে'র মতে, ক্রিক রোয়ের ঘটনা নতুন সতর্কবার্তা। তাঁর দাওয়াই, "বাসিন্দাহীন বিপজ্জনক বাড়িগুলো অবিলম্বে ভেঙে ফেলা জরুরি। অন্যগুলোর বাসিন্দাদের সাময়িক ভাবে অন্যত্র সরিয়ে দিন পুর-কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনে আইনি পরামর্শ নিয়েই বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙা হোক।" http://www.anandabazar.com/archive/1120721/21cal4.html ফের উত্তেজনা কড়েয়ায়। আবারও কাঠগড়ায় কড়েয়া থানা। অবৈধ নির্মাণের প্রতিবাদ করায় ছুরিকাহত হলেন এক যুবক। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে থানার সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন বাসিন্দারা। http://zeenews.india.com/bengali/nation/man-stabbed-in-kareya_10539.html |
No comments:
Post a Comment